শনিবার ১৮ অক্টোবর ২০২৫ - ১৪:১৭
হাওজা ইলমিয়া প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্ষেত্রে বড় পদক্ষেপসমূহ

আয়াতুল্লাহ আরাফি আরও বলেন: ভবিষ্যতের পরিবর্তনসমূহের প্রেক্ষিতে আমাদের সামনে বিশাল সুযোগ অপেক্ষা করছে, যেগুলোকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো প্রয়োজন।

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, হাওজার উচ্চ পরিষদের সদস্য বলেন: আল্লাহর কৃপায়, সাম্প্রতিক সময়ে নতুন প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) ক্ষেত্রে, বিশেষ করে অবকাঠামো উন্নয়নের দিক থেকে, হাওজায় গুরুত্বপূর্ণ ও বৃহৎ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আরও তথ্য প্রদান করা হবে।

আয়াতুল্লাহ আরাফি আরও বলেন: ভবিষ্যতের পরিবর্তনসমূহের প্রেক্ষিতে আমাদের সামনে বিশাল সুযোগ অপেক্ষা করছে, যেগুলোকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো প্রয়োজন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের জন্য মানবিক ও ইসলামী জ্ঞান প্রচার ও উৎপাদনের ক্ষেত্রে যেমন কিছু চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে, তেমনি বড় সুযোগও এনে দিচ্ছে-যা আমরা উপেক্ষা করতে পারি না।

ইজতেহাদি (গভীর ইসলামী ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ) দৃষ্টিভঙ্গির গুরুত্ব ভুলে যাওয়া চলবে না

হাওজার পরিচালক বলেন: মানবিক ও ইসলামী বিজ্ঞান গবেষণাগুলো বিভিন্ন স্তরে পরিচালিত হয়। কিন্তু ইসলামী বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে আমরা গভীর জ্ঞান, ইজতেহাদ এবং ধর্মীয় ধারণাগুলোর গভীর উপলব্ধির প্রয়োজন অনুভব করি-কারণ এগুলো সরাসরি ধর্ম ও ধর্মীয় শিক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত। স্বাভাবিকভাবেই, ধর্মের সাথে কোনো বিষয় সম্পর্কিত করতে হলে তার জন্য প্রমাণ (হুজ্জত) থাকা জরুরি।

অবশ্যই আমরা চাই না যে প্রতিটি গবেষকই ফকীহ বা মুজতাহিদ হোন, তবে এই গবেষণায় ইজতেহাদি দৃষ্টিভঙ্গির গুরুত্ব কখনো অবহেলা করা উচিত নয়—যাতে আমরা আমাদের মহান ইসলামী ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকার থেকে সঠিকভাবে উপকৃত হতে পারি।

দেশ ও ইসলামী ব্যবস্থার প্রয়োজনভিত্তিক গবেষণা দৃষ্টিভঙ্গি আরও গুরুত্ব সহকারে অনুসরণ করতে হবে

হাওজার উচ্চ পরিষদের সদস্য আরও বলেন: আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সমসাময়িক ফিকহ (আধুনিক ইসলামী আইনশাস্ত্র)-এর মতো সক্ষমতাগুলোর সদ্ব্যবহার। আল্লাহর কৃপায় এই বিষয়ে ইতিমধ্যে ভালো উদ্যোগ শুরু হয়েছে এবং তা ইনশাআল্লাহ অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরও বলেন: আজকাল দারস-এ-খারিজ (উচ্চস্তরের ফিকহ পাঠ) ও অন্যান্য একাডেমিক ক্ষেত্রে মুদ্রা, বৈদেশিক মুদ্রা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, নতুন প্রযুক্তি, আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনার সূচনা হয়েছে। এই বিষয়গুলো গবেষকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র তৈরি করেছে, যাতে তাঁরা দেশের ও ইসলামী ব্যবস্থার বাস্তব প্রয়োজন অনুযায়ী গবেষণার দিকনির্দেশনা দিতে পারেন।

দার্শনিক সংযোজন (ফালসাফা-এ-মুযাফ) ও ইসলামী ব্যবস্থা (নিযামাত)-সংক্রান্ত গবেষণাতেও ভালো অগ্রগতি হচ্ছে, যা হাওজার গবেষণামূলক কর্মকাণ্ডের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসেবে বিবেচিত।

নিখিল হাওজার মধ্যে নিক্ষিপ্ত মেধাবী ব্যক্তিদের প্রতি মনোযোগের প্রয়োজন

হাওজার পরিচালক বলেন: সাধারণ ছাত্র ও গবেষকদের পাশাপাশি হাওজার মেধাবী ব্যক্তিদের প্রতি বিশেষ মনোযোগ প্রয়োজন। প্রথম ধাপে এসব প্রতিভাবানদের সনাক্ত করা এবং তাঁদের সক্ষমতা কাজে লাগানো জরুরি-বিশেষত তাঁদের, যাঁদের মধ্যে নবীন সংস্কারমূলক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আগ্রহ ও প্রেরণা রয়েছে।

আয়াতুল্লাহ আরাফি জোর দিয়ে বলেন: মেধাবীদের শনাক্ত করা, দিকনির্দেশনা দেওয়া ও তাদের সহায়তা করা-এগুলো হাওযার গবেষণা-বিষয়ক সহকারি প্রশাসকদের প্রধান দায়িত্বের মধ্যে পড়ে, এবং এই ক্ষেত্রটিতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha